শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৫ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
দক্ষিণ আফ্রিকার সব পরিকল্পনাই উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ

দক্ষিণ আফ্রিকার সব পরিকল্পনাই উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ

আইসিসি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২১ রানে হারিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ।

লন্ডনের ওভালে স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে রোববার দক্ষিণ আফ্রিকা টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিং করতে পাঠায়।

টসে হেরে গেলেও ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৩৩০ রান করে বাংলাদেশ।

মুশফিকুর রহিম ৭৮ ও সাকিব আল হাসান খেলেন ৭৫ রানের ইনিংস।

জবাবে অধিনায়ক ফ্যাফ ডু প্লেসি ৬২ রান করলেও অন্যরা সেভাবে দাঁড়াতে না পারায় ৩০৯ রানে গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।

ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হন সাকিব আল হাসান।

মাত্র ২১ রানে হারলেও এ ম্যাচে শুরু থেকেই বেশকিছু জায়গায় বাংলাদেশ থেকে পিছিয়ে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা।

টস হেরে ব্যাট করতে নামলেও, সৌম্য আর তামিম একটি ভালো সূচনা করেন।

মাত্র ৭ ওভারে ৫০ আর উদ্বোধনী জুটিতে ৬০ রান হয় ৫০ বলে। এরপর অবশ্য দ্রুতই ফেরত যান এ দুজন। তামিম ইকবাল করেন ২৯ বলে ১৬।

তবে অন্য প্রান্তে দৃষ্টিনন্দন সব শটে ৩০ বলে ৯ চারে ৪২ রান করেন সৌম্য সরকার। মূলত তাঁর ব্যাটিংটাই দলকে আত্মবিশ্বাস এনে দেয় বড় স্কোরের।

সাকিব-মুশফিকের জুটি

৭৫ রানে ২ উইকেট হারানোর পর জুটি বাঁধেন বাংলাদেশের দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম এবং সাকিব আল হাসান।

এ দুজন গড়ে তোলেন১৪২ রানের বড় জুটি। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৩৪তম ফিফটি করেন মুশফিক। আর ক্যারিয়ারের ৪৩তম অর্ধশত করেন সাকিব।

এসময় দক্ষিণ আফ্রিকার কোনো পরিকল্পনাই কাজে আসেনি। কিছু সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগেনি ফিল্ডিং ব্যর্থতায়।

লোয়ার অর্ডারের দৃঢ়তা
সাকিব-মুশফিক দুজনেরই সেঞ্চুরি করার সুযোগ ছিল। কিন্তু অল্প ব্যবধানে এ দুজন আউট হলে খানিকটা চাপে পড়ে বাংলাদেশ।

তবে সে চাপ সামাল দেন আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।

মো: মিঠুন এবং মোসাদ্দেক সৈকত – দুজনেই যথাক্রমে ২১ ও রান ২৬ রান করে মাহমুদুল্লাহকে সমর্থন করেন।

সে কারণেই শেষ ১০ ওভারে ৮৬ রান তুলতে সমর্থ হয় বাংলাদেশ।

এতে করে নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসের ও এই বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ স্কোর করতে সমর্থ হয় মাশরাফির দল।

ভালো ফর্মে থাকা কোয়েন্টিন ডি কক তাঁর সতীর্থ ব্যাটসম্যানের সাথে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে যান।

মার্করামের সাথে ডু প্লেসির জুটিটাও জমে উঠেছিল। মার্করাম যখন পঞ্চাশ এর পথে, সে সময় ৫ রান দূরে থাকতে তাকে বোল্ড করেন সাকিব। ভাঙেন ৫৩ রানের জুটি।

ডু প্লেসিকেও যখন ভয়ংকর মনে হচ্ছিল, সেসময় ৬২ রানে তাকে ফেরত পাঠান মিরাজ।

এরপর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট তুলে নেন বাংলাদেশের বোলাররা। মুস্তাফিজ ৩টি, সাইফুদ্দিন ২টি ও সাকিব-মিরাজ নেন একটি করে উইকেট।

দলীয় পারফরম্যান্সে পার্থক্য
বাংলাদেশ এ ম্যাচে পুরো দল হিসেবে খেলেছে। কারো একক পারফরম্যান্সে উপর তারা নির্ভর করেনি।

মুশফিক-সাকিবের ফিফটির সাথে, রিয়াদ ও সৌম্যর অবদান। বোলিংয়ে উইকেট ভাগাভাগি করেছেন ৪ জন মিলে। এ দিকটাতেই পিছিয়ে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা।

দলে দুটি পরিবর্তন এনেও পুরো দল হিসেবে জ্বলে উঠতে ব্যর্থ হয়েছে তারা। ডু প্লেসি ফিফটি করলেও অন্যরা সেট হয়েও আউট হয়েছেন।

বোলিংয়ে পেহলাকায়ো, তাহির ও মরিস দুটো করে উইকেট পেলেও রান আটকাতে পারেননি।
সূত্র : বিবিসি

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877